Daily Bangladesh Mirror

ঢাকা, বৃহস্পতিবার, জুলাই ১৭, ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২

লিড নিউজ

নিরাপদ মজুত নিশ্চিতে ৪ লাখ টন চাল আমদানি করবে সরকার: খাদ্য উপদেষ্টা

ডেস্ক রিপোর্ট:
১ দিন আগে বৃহস্পতিবার, জুলাই ১৭, ২০২৫
# ফাইল ফটো



বন্যার কারণে আমন উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হবে বিবেচনায় চাল আমদানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এজন্য আন্তর্জাতিক বাজার থেকে সরকারিভাবে চার লাখ টন চাল কেনা হবে। একইসঙ্গে বেসরকারিভাবে পাঁচ লাখ টন চাল আমদানির অনুমতি দেবে সরকার।


আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধান কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার। সভা

শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।


উপদেষ্টা বলেন, উৎপাদনসহ আমাদের অনেক ধরনের সীমাবদ্ধতা আছে। এজন্য আমরা হিসাব করেছি নভেম্বর পর্যন্ত নিরাপদ খাদ্য মজুতের ক্ষেত্রে কিছুটা কম পড়ে যাবে। নিরাপদ খাদ্য মজুত বলতে বোঝায় সাড়ে ১৩ লাখ টন চাল-গম মিলিয়ে মজুত রাখা।


তিনি বলেন, আমরা আমনে বন্যার কোনো ঝুঁকি রাখিনি। আমনে বন্যা হতে পারে সেটা ধরে নিয়ে আগাম প্রস্তুতি হিসেবে আমরা চার লাখ চাল সরকারিভাবে আমদানির জন্য উদ্যোগ নিয়েছি। একইসঙ্গে বেসরকারি খাতে পাঁচ লাখ টন চাল আমদানির জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে লাইসেন্স দেওয়ার জন্য বলেছি। গত বছরও ১৫-১৬ লাখ টন চাল আনার জন্য দেওয়া হয়েছিল। এনেছিল ৫ লাখ টনেরও কম। এখন যদি তাদের (ব্যবসায়ী) এনে পোষায়, তাহলে তারা আনবে। আর আমরা সরকারিভাবে চার লাখ টন আনবো।


সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বন্যার কারণে তরি-তরকারি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।আউশ কিছুটা আছে। আমনের বীজতলা তৈরি করা হচ্ছে। এখনকার বৃষ্টিতে ফসলের ক্ষতি হবে না।


উপদেষ্টা বলেন, আমাদের বোরো ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল সাড়ে তিন লাখ টন। ২৬ হাজার টন অতিরিক্ত সংগ্রহ করা হয়েছে। সাড়ে ৯ লাখ টনের মতো চাল সংগ্রহ করা হয়েছে। ১৪ লাখ টনের মতো সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। আশা করছি ইনশাআল্লাহ আমরা কাছাকাছি পৌঁছাতে পারবো। আমরা আগস্ট মাসের মাঝামাঝি সময়ে চাল সংগ্রহ শেষ করে দেবো।


তিনি বলেন, বাজারকে স্থিতিশীল রাখার জন্য বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম নিতে হয়। শুধু রেগুলেটরি কার্যক্রম, এগুলো নিলে চলে না। কিছু আর্থিক কার্যক্রম নিতে হয়। এখন বাজারে সরকারও ক্রেতা হিসেবে আছে, কারণ আমরা কিনছি।


এছাড়াও আন্তর্জাতিক বাজারে চালের দাম কমছে জানিয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, প্রয়োজন হলে আমরা ওখান থেকে আনবো। আমরা চেষ্টা করছি যেকোনো মূল্যে বাজারে স্থিতিশীল করার। কারণ উত্থান-পতন থাকবে। একসঙ্গে সব পণ্যের দাম কমে যাবে সেটা কোনোদিন সম্ভব নয়। একসঙ্গে সকল পণ্যের দাম বেড়ে যাবে এটাও কাম্য নয়। এ দিক দিয়ে আমরা একটু সজাগ আছি।


সভায় খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভাপতি ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, অর্থ ও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

১ দিন আগে বৃহস্পতিবার, জুলাই ১৭, ২০২৫

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন