Daily Bangladesh Mirror

ঢাকা, বৃহস্পতিবার, জুলাই ১৭, ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২

কুমিল্লা বিভাগ

কুমিল্লায় প্রকৌশলীকে লাথি মেরে বের করে দেয়ার হুমকির অভিযোগ জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে

স্টাফ রিপোর্টার:
১ দিন আগে বৃহস্পতিবার, জুলাই ১৭, ২০২৫
# ফাইল ফটো



কুমিল্লা মুরাদনগরে উপজেলা প্রকৌশলীকে লাথি মেরে অফিস থেকে বের করে দেয়ার হুমকির অভিযোগ উঠেছে এক জামায়েত নেতার বিরুদ্ধে। 

অভিযুক্ত মাহবুব আলম মুন্সী মুরাদনগর উপজেলা জামায়াতের সহকারি সেক্রেটারি।


মঙ্গলবার বিকেলে মুরাদনগর উপজেলা পরিষদের প্রকৌশলীর অফিস কক্ষের ভিতরে এ ঘটনা ঘটে। যার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। 


ওই ভিডিওতে দেখা

যায় মুরাদনগর উপজেলা প্রকৌশলী কাজী ফয়সাল বারী পূর্ণ তার অফিসের চেয়ারে বসে আছে। তার অফিসের টেবিলের অপরপ্রান্ত থেকে মুরাদনগর উপজেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মাহবুব আলম মুন্সী দাঁড়িয়ে থেকে উপজেলা প্রকৌশলীকে বলছেন লাথি মেরে তোকে বের করে দেব। যা মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। 


অভিযোগের বিষয়ে মুরাদনগর উপজেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মাহবুব আলম মুন্সির সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, মুরাদনগর উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের বাসকাইট থেকে প্রান্তি বাজার পর্যন্ত সড়কটির খুবই বেহাল অবস্থা। সেই রাস্তাটির সংস্কারের একটি আবেদন নিয়ে আমি সহ স্থানীয় কয়েকজন মুরাদনগর উপজেলা প্রকৌশলীর কাছে যাই। তখন তিনি আবেদনটি দেখে গরিমওসে শুরু করেন। তিনি বলেন এটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব। রাস্তাটির সংস্কার খুবই জরুরী এই বিষয়টি উনাকে বুঝাতে গেলে। ওনি আমার সাথে রেগে যান। তিনি বলেন, যদি রাস্তা ভেঙ্গে পানি জমে থাকে তাহলে আপনারা গিয়ে বালতি দিয়ে সে পানি পরিষ্কার করেন। উনি উত্তেজিত হয়ে গেলে, তখন আমিও উত্তেজিত হয়ে যাই। 


পরে আমাদের মুরুব্বীরা এসে মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে বসে ঘটনাটির সুরাহা করে নেয়। শর্ত অনুযায়ী আমার কাছে কিছু ভিডিও ছিল, তা আমি ডিলিট করে দেই। 


আসলে ওই ঘটনার সময় আমাদের প্রায় ১০ মিনিট তর্ক বিতর্ক হয়েছে। দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে মাত্র ১০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে।


এ বিষয়ে মুরাদনগর উপজেলা জামায়াতের আমীর আ ন ম ইলইয়াস জানান, যে ঘটনাটি হয়েছে সেটি দুঃখজনক। এক পক্ষ থেকে তো আসলে কোন ঘটনা তৈরি হয় না। যাইহোক বিষয়টি আমরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে বসে উপজেলা প্রকৌশলীর সাথে সুরাহা করেছি। এই ঘটনায় আমরা দুঃখ প্রকাশ করেছি। এ ধরনের ঘটনা, না হওয়াটাই ভালো।


তবে এ বিষয়ে কথা বলতে উপজেলা প্রকৌশলী কাজী ফয়সাল বারী পূর্ণর সাথে মুঠোফোনে বারবার চেষ্টা করলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। 


মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো: আবদুর রহমান জানান, রাস্তা সংস্কারের আবেদনটি নিয়ে প্রথমে আমার কাছে এসেছিল। আমি তখন তাদেরকে উপজেলা প্রকৌশলীর কাছে পাঠিয়েছি। ওখানে গিয়ে তারা আসলে কি করেছে আমি তা জানি না। পরে আমি তাদের নেতৃত্ব স্থানীয় লোকদেরকে ডেকেছিলাম। পরে তারা উপস্থিত হয়ে এ বিষয়টির ওপর দুঃখ প্রকাশ করেছে। 


ক্ষমতার অপব্যবহার করে চাইলেই কি কেউ কোন কর্মকর্তাকে হুমকি দিতে পারে? এমন প্রশ্নের জবাবে ইউএনও বলেন, সাধারণ হোক কিংবা অসাধারন ব্যক্তি কেহই চাইলেই কোন কর্মকর্তার অফিসে ঢুকে এ ধরনের আচরণ করতে পারেনা।

১ দিন আগে বৃহস্পতিবার, জুলাই ১৭, ২০২৫

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন