Daily Bangladesh Mirror

ঢাকা, বুধবার, জুলাই ৯, ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২

কুমিল্লা বিভাগ

ইপিজেডের জুটের মাল নিয়ে বিএনপির নেতাদের মধ্যে কোন্দল, এবার জুটের ট্রাকে অগ্নিসংযোগ ও চালককে মারধর

স্টাফ রিপোর্টার:
২৪ দিন আগে বুধবার, জুলাই ৯, ২০২৫
# ফাইল ফটো





ইপিজেডের জুটের মালামাল নিয়ে সংঘর্ষ-কোন্দল এখন নিত্য সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে। বিগত শেখ হাসিনার সরকারের আমলে জুটের মালামালের ব্যবসাটির বেশিরভাগই  নিয়ন্ত্রণ করতো সদর এমপি হাজী বাহারের কর্মী মামুন ও ডালিম নামের দুই ভাই।তবে স্থানীয় কুসিক কাউন্সিলর শিপনও জুটের মালের আরেকটি অংশ নিয়ন্ত্রণ করতো। কিন্তু ৫ আগষ্টে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর মামুন ও ডালিমের ক্ষমতা কিছুটা

কমে আসে। 


অনেক মামলায় আসামিও করা হয়। কিন্তু সদর দক্ষিণের বিএনপির এক নেতার সহায়তায় আইনি জটিলতা থেকে কিছুটা মুক্ত রয়েছে মামুন ও ডালিম দুই ভাই। তবে জুট ব্যবসার কিছুটা এখনো ধরে রেখেছে মামুন ও ডালিম ওই প্রভাবশালী বিএনপি নেতার সহযোগিতায়।স্থানীয় একাধিক সূত্রমতে, ইপিজেডের জুটের ব্যবসা এখন বিএনপি-জামায়াতের বেশ কয়েকজন নেতা নিয়ন্ত্রণ করছেন। কুসিকের সাবেক কাউন্সিলর বিএনপি নেতা রাজিব, শিপন, ২১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাহবুবের লোকরা জুটের ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছে বলে জানা গেছে। সাথে রয়েছে কুসিকের এক জামায়াতপন্থী সাবেক কাউন্সিলর। বেশ কয়েক মাস ধরে ইপিজেডের এই জুটের মাল বের করা করাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, গুলিবর্ষণ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটছে। এক প্রকার অস্থিতিশীল পরিবেশ বিরাজ করছে সেখানে। 


বৃহস্পতিবার (১৫ মে) দুপুর ২ টার দিকে আবারো ইপিজেডের জুটের মাল বের হওয়া নিয়ে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। 


স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, কাউন্সিলর মাহবুবের ভাই কাজী ইকরাম ও মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রাজিবের লোক ১৩ নং ওয়ার্ড  যুবদলের  সভাপতি কনক  ইপিজেডের একটি কোম্পানির জুটের  জন্য টেন্ডার জমা দেন। পরবর্তীতে  টেন্ডার পায় কনক।  দুপুর ২ টার দিকে কনকের ২টি জুটের গাড়ি নেওড়া মিলিটারী ফার্মের কাছাকাছি আসলে কাউন্সিলর মাহবুবের চাচাতো ভাই  কাজী ইকরাম লোক পাঠিয়ে গাড়ির উপর হামলা করে জুটে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং গাড়ির চালকসহ আরো কয়েকজনকে  মারধর করেন। এক পর্যায়ে লোকজন জড়ো হলে সন্ত্রাসীরা  পালিয়ে যায়। 


ঠিকাদার কনক গ্রুপের লোকজন জানায়, কাউন্সিলর মাহবুব ও তার চাচাতো ভাই কাজী ইকরাম সন্ত্রাসী পাঠিয়ে অগ্নিসংযোগ ও চালককে মারধর করেছে। 


অপরদিকে ইকরাম বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করে জানান, আমি ৬ মাস ধরে জুটের মালের ব্যবসা করছি। আমি মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রাজিব চাচাকে অনুরোধ করেছি, যাতে আমার ব্যবসায় বাধা না দেয়। কিন্তু তিনি জোর করে আমার কাজ নিয়ে গেছে। তিনি নিজের নামে কোন কাজ নেন না,  অন্য লোক দিয়ে করায়। তিনি ৯ কোম্পানি নিজের নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন। রাজিব কাকা আমার পেটে লাথি দিয়েছে।

 

এ বিষয়ে জানতে মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রাজিবের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও মুঠোফোন সংযোগে পাওয়া যায় নি। 

স্থানীয় সূত্র জানায়, দুই পক্ষ এখন সমঝোতা করার চেষ্টা করছে। 


এই ঘটনায় সদর দক্ষিণ থানায় কেউ কোন অভিযোগ দেননি বলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানায়।

২৪ দিন আগে বুধবার, জুলাই ৯, ২০২৫

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন