অপূর্ব আবরণে মনুষ্য দেহের সৃজন,
অন্তরস্থ উপলব্ধিতে সুখ-দুঃখ যত,
নিশ্বাস দূরত্বের পরমাত্মীয়তে বোধগম্য নয়-
খোলসে আবদ্ধ আত্মার ভালোত্বের খবর।
এক বিছানায় কাটানো দুই আত্মায়,
ভিন্নতা, কল্পনা কিংবা পরার্থবোধে,
পোশাকের আবরণে নগ্নতার দায় এড়ানো-
উপলব্ধিশূণ্য মানুষে সৌহার্দ্য কিসের?
বহুমূল্যের ভূষণে তুমি যদিও বড়বাবু,
আত্মকথনে তুমি আজ অসহায়,
অন্তরস্থ উপলব্ধিতে পৃথিবীর সব
পরার্থ অমঙ্গল কামনায় লাভ কিসে?
খোলসে আবদ্ধ আত্মার অসুখে,
কবিরাজের শতপদী ঔষধে,
মিলবে না সুরাহা-
উপলব্ধিহীন আত্মার মরণই শ্রেয়।
পোশাকটা খুলে ফেলে নগ্নতায়,
বনজীবনে ফিরে আসাতে সুখ বুঝি,
নরখাদকের মুখে রক্তের দাগ-
উপলব্ধিহীন মানুষে ন্যায়বোধের মূল্য কি?
পোশাকটা মানদণ্ড যদি সভ্যের,
নগ্নতার সাক্ষী কেন ঘুটঘুটে অন্ধকারে,
ষোড়শীর পাঁজরের হাড়ে কিসের উপলব্ধি-
সভ্যদের রক্তে দোষিণী ষোড়শীরা।
অপূর্ব আবরণে মনুষ্য দেহের সৃজন,
অন্তরস্থ উপলব্ধিতে সুখ-দুঃখ যত,
কথাদের সাথে সখ্যতায়-
নতুন জীবনের গল্প বুনা।
পোশাকের আবরণটাই সব আজ,
ভেতরের আমিত্বের সন্ধান জানা নাই কারো,
উপলব্ধি নেই খোলসের সত্তার-
মৃতের নগরে যাওয়াই শ্রেয়।
পোশাকটা সব আজ,
আত্মার খোঁজ নেই কারো,
এক বিছানায় কাটানো দুই দেহ পরস্পর পর-
উপলব্ধিহীন খোলসের দায় কিসে?
১৮ দিন আগে বুধবার, জুলাই ৯, ২০২৫