দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, তাদের দায়ের করা মামলার আসামিদের কেউ ছাড় পাবে না। তাদের কারাগারে থাকতে হবে বা জামিনে থাকতে হবে।
শনিবার দুদক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার মহাপরিচালক (বিশেষ তদন্ত) মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলী এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) সাবেক প্রধান মাসুদ বিশ্বাসকে
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সহযোগিতায় গ্রেফতার করা হয়েছে। অবৈধভাবে প্রায় দুই কোটি টাকা অর্জনের অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়।শনিবার ডিবি পুলিশের সহায়তায় মাসুদ বিশ্বাসকে গ্রেফতার করা হয়। দুপুর সোয়া ১২টায় তাকে সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে হাজির করা হয়। প্রায় দেড় ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে আদালতে নেওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ থেকে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হবে বলে জানানো হয়।
দুদক সূত্র জানায়, মাসুদ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, তিনি এক কোটি ৮৭ লাখ ৭২ হাজার ৬২২ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন।
২০০৪ সালের দুর্নীতি দমন কমিশন আইন এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়।
গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর মাসুদ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে দুদক। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে, তিনি স্কাই ক্যাপিটাল এয়ারলাইনসের উড়োজাহাজ কেনায় অনিয়মের বিষয়টি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে না পাঠিয়ে ঘুষের বিনিময়ে তদন্ত বন্ধ করেন। এছাড়া, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের চেয়ারম্যান তমাল পারভেজের ব্যাংক থেকে পাঁচ হাজার কোটি টাকা লুটপাটের অভিযোগ তদন্তেও অনিয়ম করেছেন।
দুদক জানিয়েছে, দুর্নীতির মামলার আসামিদের কেউ ছাড়া পাবে না। তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে এবং অনিয়ম দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গেলে সবার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দুদকের এই উদ্যোগকে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
২৩ দিন আগে বৃহস্পতিবার, জুলাই ১০, ২০২৫