অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ মন্তব্য করেছেন, ভবিষ্যতে আর কেউ অর্থপাচার করতে পারবে না। তিনি আরও বলেন, বিগত সরকারের সময়কার অনিয়ম-দুর্নীতি ২-৪ মাসে স্বাভাবিক করা সম্ভব নয়।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘প্রাইভেট সেক্টর আউটলুক: প্রত্যাশা ও অগ্রাধিকার’ শীর্ষক বাণিজ্য সম্মেলনে
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।অর্থ উপদেষ্টা আরও বলেন, দেশের অর্থনীতি কিছুটা স্থিতিশীল হতে শুরু করেছে, যা ক্ষয় হতে শুরু করেছিল। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ছে এবং বিদেশি সহযোগী সংস্থাগুলোও ইতিবাচক সাড়া দিচ্ছে।
বেসরকারি খাতে ঋণের বিষয়ে ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আপাতত পলিসি রেট বাড়ানো হবে না এবং বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ যেন না কমে, সে বিষয়ে সরকার নজর দিচ্ছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রাজস্ব আদায়কারী এবং আইনপ্রণেতা আলাদা করা হবে এবং এলডিসি গ্রাজুয়েশন হলে গার্মেন্টস শিল্পে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না।
বাণিজ্য সম্মেলনে ডিসিসিআই সভাপতি আশরাফ আহমেদ বলেন, দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখনও পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি এবং জ্বালানি সমস্যা এখনও রয়েছে, যার কারণে শিল্পকারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে ব্যবসা পরিচালনা কঠিন হয়ে পড়বে।
এ বিষয়ে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সরকার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, “হতাশ হবেন না, গত ১৫ বছরে যে ক্ষত হয়েছে, তা প্যারাসিটামল দিয়ে সারবে না। কিছু কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে।”
সম্মেলনে ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ফিকি) সভাপতি জাভেদ আখতার বলেন, এলডিসি গ্রাজুয়েশন নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, বাংলাদেশের আদৌ এলডিসি থেকে উত্তরণের প্রয়োজন আছে কি না এবং চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করা সম্ভব হবে কিনা, তা এখনই ভাবার সময়।
অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ লিমিটেডের (এবিবি) চেয়ারম্যান সেলিম আর এফ রহমান বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে এবং বর্তমানে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ মূল্যস্ফীতি। তিনি বলেন, মনিটারি পলিসি পরিবর্তন করা প্রয়োজন এবং ব্যবসায় স্বচ্ছতা আনতে ব্যাংক খাতকে ঢেলে সাজাতে হবে। পাশাপাশি, জ্বালানি সরবরাহ বাড়ানোর উপরও গুরুত্ব দিতে হবে।
১১ দিন আগে বুধবার, জুলাই ৯, ২০২৫