রাজধানীর ধানমন্ডির একটি ভবনের ছাদে এক তরুণীকে (২১) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার সন্ধ্যায় ধানমন্ডি ৩/এ রোডের ৫৬/এ সাততলা এএমএম সেন্টারের ছাদের ব্যালকনিতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ধানমন্ডি মডেল থানায় এক যুবকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
সাততলা এএমএম সেন্টারের ছাদে একসময় রেস্টুরেন্ট ছিল। কিন্তু সেটি বেশ কিছুদিন ধরে বন্ধ। ভবনটিতে একটি সুপার শপসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তরুণীর অভিযোগ-
এ ঘটনায় ধানমন্ডি মডেল থানায় তার বাবা মামলা করেছেন। তাদের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের হাইমচরে। বর্তমানে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার আটিবাজার ওয়াশপুর ইলাহীনগরে তারা থাকেন। মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের ফুটপাতে তরুণীর বাবা দোকানদারি করেন।
তরুণীর বাবার করা মামলার এজাহারে বলা হয়, সোমবার বেলা ১১টার দিকে ব্যক্তিগত কাজের কথা বলে মেয়ে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। মাগরিবের নামাজের পর মেয়ের মোবাইল ফোন থেকে আসা কলে বলা হয়, ‘জাপান-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল থেকে বলছি। আপনার মেয়ে এ হাসপাতালে আছে। আপনি দ্রুত হাসপাতালে আসেন।’ খবর পেয়ে দ্রুত হাসপাতালে যাই। পরে জানতে পারি এএমএম সেন্টারের সাততলা পরিত্যক্ত ফ্লোরে মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। স্থানীয়রা তাকে হাসপাতালটিতে নিয়ে আসে। সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।
ধানমন্ডি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পারভেজ ইসলাম জানান, জাপান-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ থেকে ফোনে জানানো হয়- ধর্ষণের শিকার এক তরুণী সেখানে চিকিৎসাধীন। সিসিটিভি ফুটেজে অভিযুক্তকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাকে গ্রেফতারে অভিযান চালানো হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, তরুণীর বর্ণনার সঙ্গে প্রকৃত ঘটনার মিল পাওয়া যাচ্ছে না। তরুণী আসামির নাম বলেনি। তবে তারা পূর্বপরিচিত বলে মনে হচ্ছে। ভবনটির সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, দুজন সাধারণভাবে একে অপরের হাত ধরে ভবনে প্রবেশ করছে। মেয়েটির ভ্যানেটি ব্যাগ ওই যুবকের কাছে দেখা যায়।
তরুণীর বাবার বরাত দিয়ে ওসি পারভেজ ইসলাম বলেন, মেয়েটি সোমবার রাগ করে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। তবে কী কারণে রাগ করেছে সেটি বলেননি। মেয়েটি অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করেছে। বর্তমানে কিছুই করে না। ধানমন্ডি জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) এহসানুল ফেরদৌস বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। ভিডিও ফুটেজ দেখে আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। মেয়েটির মেডিকেল চেকআপ হয়েছে।
৬ দিন আগে বৃহস্পতিবার, জুলাই ১০, ২০২৫