তুরস্ক ইসরায়েলের বিমান হামলাকে তীব্রভাবে নিন্দা জানিয়েছে, যা ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্য করে পরিচালিত হয়েছিল। তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ হামলাকে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনকারী ও উত্তেজনা বৃদ্ধিকারী কর্মকাণ্ড হিসেবে অভিহিত করেছে।
তুরস্কের মতে, ইসরায়েলের এমন আগ্রাসী পদক্ষেপ প্রমাণ করে যে তারা কূটনৈতিক সমাধানের পথে
এগোতে চায় না, বরং এটি আঞ্চলিক সংঘাতকে আরও বড় ঝুঁকির দিকে নিয়ে যেতে পারে। এ পরিস্থিতিতে তুরস্ক ইসরায়েলকে এমন আক্রমণাত্মক কার্যক্রম বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে।অন্যদিকে, সৌদি আরবও ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের হামলার নিন্দা জানিয়েছে। সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "সৌদি আরব ইরানের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তাকে ক্ষুণ্নকারী ইসরায়েলের স্পষ্ট আগ্রাসনের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে।" এ হামলাকে আন্তর্জাতিক আইন ও রীতিনীতির সরাসরি লঙ্ঘন হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে বিমান হামলা চালায়। এই অভিযানের কোডনাম দেওয়া হয়েছে 'রাইজিং লায়ন'। ইরানের সংবাদমাধ্যম ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জানা গেছে, ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ স্থাপনাগুলোই মূলত হামলার লক্ষ্য ছিল।
এই হামলায় ইরানের বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা ও পারমাণবিক বিজ্ঞানী নিহত হয়েছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ বাঘেরি এবং ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) প্রধান হোসেন সালামি নিহত হয়েছেন। এছাড়াও, খতম-আল আম্বিয়া কেন্দ্রের কমান্ডার গোলামালী রশিদ এবং পারমাণবিক বিজ্ঞানী ও ইরানের পারমাণবিক শক্তি সংস্থার সাবেক প্রধান ফেরেদুন আব্বাসিও প্রাণ হারিয়েছেন।
এই হামলায় ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ও প্রতিরক্ষা কাঠামোতে বড় ধরনের আঘাত লাগতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। অন্যদিকে, ইসরায়েলের এই অভিযান পরবর্তীতে আরও বড় সংঘাতের সূত্রপাত করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে।
২৬ দিন আগে বুধবার, জুলাই ৯, ২০২৫