প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তী সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে।
আজ শনিবার রাজধানীর ডেইলি স্টার ভবনে অনুষ্ঠিত ‘গণমাধ্যম সংস্কার প্রতিবেদন পর্যালোচনা’ এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
শফিকুল আলম বলেন, সাংবাদিকতা এক সময় অনেক বেশি সরকার নিয়ন্ত্রিত ছিল। সেখান থেকে বেরিয়ে এসে আমরা একটি মুক্ত এবং ভয়ডরহীন
পরিবেশ গড়ে তুলতে চাইছি।প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট বাতিল করে নতুন যে আইন এসেছে, তা কোনোভাবেই প্রেস ফ্রিডমে হস্তক্ষেপ করে না। এই কয়মাসে সরকার চেয়েছে কোনো সিক্রেট এজেন্সি যেন সাংবাদিকদের ফোন না দেয়। ভুল সংবাদ হলে তা বলার আলাদা উপায় রয়েছে, হুমকি বা গুমের সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসাই লক্ষ্য।
তিনি আরও বলেন, প্রেস ফ্রিডম মানে মিথ্যা বলার গ্যারান্টি নয়। যে ব্যক্তি মিথ্যা তথ্য ছড়ায়, তাকে প্ল্যাটফর্ম দেওয়া উচিত নয়।
সাবেক সরকারের সময় সাংবাদিকতা যে ব্যর্থতার মধ্যদিয়ে গেছে, সেটি স্বীকার করে তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে যারা নির্যাতিত হয়েছেন তাদের প্রতিবাদের অধিকার আছে। জাতিসংঘকে অনুরোধ করেছি বাইরের এক্সপার্ট দিয়ে ওই সময়ের সাংবাদিকতা মূল্যায়ন করতে।
সাংবাদিকদের ন্যূনতম বেতনের বিষয়ে সচেতনতার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন প্রেস সচিব। ওয়েজ বোর্ড জটিলতায় না গিয়ে বিকল্প খোঁজার চেষ্টা করার আহ্বান জানান তিনি। পশাপাশি প্রত্যেক মিডিয়া হাউজের সোশ্যাল মিডিয়া নীতিমালা থাকার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন তিনি।
টিভি সাংবাদিকতার ন্যূনতম বেতনের বিষয়ে সচেতনতার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওয়েজ বোর্ড জটিলতায় না গিয়ে বিকল্প উপায় খুঁজতে হবে। প্রত্যেক মিডিয়া হাউজের সোশ্যাল মিডিয়া নীতিমালা থাকা দরকার বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সদস্য ফাহিম আহমেদ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা যেসব সুপারিশ দিয়েছি, সরকার যেন সেগুলোর কিছু অন্তত অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করে।
অনুষ্ঠানে অপর সদস্য অধ্যাপক গীতি আরা নাসরিন বলেন, একটি ভালো নির্বাচন করতে হলে গণমাধ্যমকে বাদ দিয়ে সেটা সম্ভব নয়। গণমাধ্যমের বিশ্বাসযোগ্যতা প্রতিষ্ঠাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
৪ দিন আগে বুধবার, জুলাই ৯, ২০২৫