ঈদে ঘরমুখো মানুষদের জিম্মি করে তাদের কাছ থেকে যানবাহনগুলোতে নেওয়া হচ্ছে ‘গলাকাটা’ ভাড়া। ২৫০ টাকার ভাড়া ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ যাত্রীদের। মাইক্রোবাস কিংবা রিজার্ভ প্রাইভেট যানবাহনে এই ভাড়া আরও অধিক।
অন্যদিকে, আরামদায়ক বাস ভ্রমণের পরিবর্তে টাকা বাঁচাতে রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে পিকআপ ভ্যান কিংবা ট্রাকে যাওয়া- যেভাবেই হোক না কেন- এই গলাকাটা ভাড়া থেকে
এছাড়াও সিএনজি চালিত অটোরিকশাতেও ২০ টাকার ভাড়া ৪০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে। গার্মেন্টকর্মীসহ নিম্ন আয়ের মানুষগুলো অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে গিয়ে পড়ছেন বিপাকে।
মঙ্গলবার (২৭ জুন) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত রাজধানীর মহাখাল বাস টার্মিনাল থেকে গাজীপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত দেখা গেছে এমন চিত্র। অধিকাংশ যাত্রীকেই কয়েকগুণ ভাড়া দিতে হয়েছে বলে জানান সাধারণ মানুষ। এদিকে অটোরিক্সা, সিএনজিতেও নেওয়া হচ্ছে দ্বিগুণ, তিনগুণ ভাড়া।
গাজীপুরের চন্দ্রা এলাকা থেকে বগুড়ার একটি লোকাল বাসে যাচ্ছেন গার্মেন্টকর্মী রাকিব ও তমা খাতুন। তাদের কাছ থেকে ৮০০ টাকা করে ভাড়া নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন। রাকিব বলেন, যেখানে মূল ভাড়া ২৫০ টাকা, সেখানে গাড়ী না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে ৮০০ টাকা ভাড়া দিয়ে আসতে হয়েছে তাকে। আমার বোনাসের অর্ধেক টাকা গাড়ি ভাড়াতেই চলে গেল বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সরকারি চাকরিজীবী আসছিলেন ঢাকার উত্তরা থেকে। তিনি রংপুরগামী একটি বাসে এক হাজার ৮০০ টাকা ভাড়া দিয়েছেন বলে জানান। যেখানে মূল ভাড়া মাত্র সাড়ে ৩০০ টাকা!
কথা হয় সোহাগ, মনিরুল, হাসনা, রুবিনা নামে বেশ কয়েক জন গার্মেন্টকর্মীর সঙ্গে। তারা বলেন, তিন থেকে চারগুণ অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে তাদের বাড়িতে যেতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে একাধিক বাসচালককে প্রশ্ন করা হলে তারা কোনো কথা বলতে রাজি হননি। ট্রাকচালক ছামিদুল, সোহান খান ও চঞ্চল বলেন, ফিরতি পথে খালি গাড়ি যেতে হয়। তাই দিগুণ ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। একই কথা বলেন সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালকেরাও।
১২ দিন আগে বুধবার, জুলাই ৯, ২০২৫