বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া চার মাস পর আগামী ৫ মে লন্ডন থেকে দেশে ফিরছেন। প্রাথমিকভাবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের সাধারণ ফ্লাইটে তার ফেরার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে ফেরার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শনিবার (৩ মে) বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান,
আগামী সোমবার (৫ মে) খালেদা জিয়া তার দুই পুত্রবধূসহ কাতারের রয়েল অ্যাম্বুল্যান্সে ঢাকায় পৌঁছাবেন।মির্জা ফখরুল বলেন, "সবাই আবেগাপ্লুত। বিএনপি নেতাকর্মী ও সমর্থকরা চেয়ারপারসনের প্রত্যাবর্তনে উচ্ছ্বসিত। তার অভ্যর্থনায় সবাই প্রস্তুত।" তিনি সাধারণ জনগণকে বিমানবন্দর থেকে কাকলী পর্যন্ত রাস্তা এড়িয়ে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহারের অনুরোধ জানান।
খালেদা জিয়া গত চার মাস যুক্তরাজ্যের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। পরে তার ছেলে তারেক রহমানের লন্ডনের বাসায় চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে ছিলেন। মির্জা ফখরুল উল্লেখ করেন, "উন্নত চিকিৎসা, পরিবারের সান্নিধ্য ও নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফলে তার শারীরিক অবস্থার ক্রমাগত উন্নতি হয়েছে। বর্তমানে তিনি অনেকটা সুস্থ বোধ করছেন, তাই দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন।"
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়া কারাবরণ করেন। ২০২০ সালে করোনা মহামারির সময় তাকে বিশেষ বিবেচনায় মুক্তি দেওয়া হয়। গত বছর ৫ আগস্ট রাষ্ট্রপতির আদেশে তিনি পূর্ণ মুক্তি লাভ করেন এবং পরবর্তীতে আদালত তার বিরুদ্ধে মামলাগুলো বাতিল করে।
চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হয়। ১৭ দিন হাসপাতালে চিকিৎসার পর গত ২৫ জানুয়ারি তারেক রহমানের বাসায় স্থানান্তরিত হন তিনি। দীর্ঘদিন পর এই বছর তিনি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করেন।
খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, কিডনি, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ও বাতের মতো নানা জটিল রোগে ভুগছেন। বর্তমানে তারেক রহমানের বাসায় তার পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে।
৭ দিন আগে বুধবার, জুলাই ৯, ২০২৫